ওয়ানডে নারী বিশ^কাপ ২০২৫ঃ ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের হার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস প্রতিবেদনঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে কিংবা টিটোয়েন্টিতে ৩২ ম্যাচে কোনো জয় নেই পাকিস্তানের। ওয়ানডেতে ১৬ বারের মোকাবেলায় ১৬টি হার এবং টিটোয়েন্টিতে ১৬ বারের মোকাবেলায় ১৪টি হার বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়। পরাক্রমশালী অজিদের কলম্বোয় বিশ্বকাপ ম্যাচে হারানোর সুযোগ এসেছিল পাকিস্তানি মেয়েদের সামনে। যদিও সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি।

পাকিস্তানিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ৭৬ রানে উইকেট হারিয়ে ফেলে। সময় মনে হচ্ছিল ১০০ রানের আশপাশে অলআউট হয়ে যাবে অ্যালিসা হিলির দল। যদিও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া তুলেছে উইকেটে ২২১ রান! জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ১১৪ রানে অলআউট। ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় এড়ানো অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত জিতল ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে।

দারুণ এক সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কাণ্ডারি বেথ মুনি। ১১৪ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি ১১ বাউন্ডারির সাহায্যে। পথে নবম উইকেটে অ্যালানা কিংকে নিয়ে ৯৭ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন তিনি দলের সংগ্রহ ২০০ পার করান। তিন ছক্কা তিন চারে ৪৯ বলে ৫১ রান করেছেন কিং। আর ওয়ানডেতে বেথ মুনি করেন পঞ্চম সেঞ্চুরি।

পাকিস্তানের নাসরা সান্ধু ৩৭ রানে ৩টি, রামিন শামীম ২৯ রানে ২টি ফাহিমা সানা ৪৯ রানে ২টি উইকেট নেন। পাকিস্তানি বোলারদের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বিফলেই যায়। তাদের ব্যাটাররা শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ৩৬. ওভারে ১১৪ রানে শেষ। কিম গার্থ ১৪ রানে তিনটি, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ১৫ রানে দুটি মেগান শুট ২৫ রানে দুটি উইকেট নেন। জয়ে পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারও আত্মবিশ্বাস জোগাবে বাংলাদেশকে

২০২২ সালে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয় পেয়েছিল লালসবুজের প্রতিনিধিরা। এবারের আসরেও প্রত্যাশা খুব বড় ছিল না। দেশ ছাড়ার আগে টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছিলেন, ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চান তারা। লক্ষ্য আগের আসরের চেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গেল আসরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পেসার মারুফা আক্তার। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল জ্যোতি বাহিনী। যদিও ম্যাচে চার উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগ্রেসরা। ইংলিশদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়তে না পারলেও সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শিবিরে কাপুনি ধরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। যেখানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছিলেন ফাহিমা খাতুন। তবে এই ম্যাচে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত, যদি কিনা ইনজুরি নিয়ে মাঠ না ছাড়তেন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মারুফা আক্তার। ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাতটাও এনেছিলেন এই টাইগ্রেস পেসার। তবে পাঁচ ওভার বল করে পায়ে পেশিতে টান লাগার কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তখন থেকে টাইগ্রেস সমর্থকদের মনে শঙ্কা জেগেছিল, পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারবেন কিনা মারুফা। 

টিম সূত্রে জানা যায়, মারুফার চোখ গুরুত্বর নয়, আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার মতো সুস্থ আছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ না জিতলেও এমন পরাজয় টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করেন ফাহিমা খাতুন। তিনি বলেন, আমরা প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছি। সেই অর্থে, আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আজ (মঙ্গলবার) আমরা ২০৩০ রানে পিছিয়ে ছিলাম। (কিন্তু) যদি আমরা এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি, তাহলে (প্রতিটি) দল আমাদের সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে নিতে পারবে না।

Related Posts