গল্প || প্রতিধ্বনি || পলি শাহীনা, নিউইয়র্ক

সকালটা সরিষা ফুলের মতো অদ্ভুত সুন্দর! ভরা নদীর মতো সূর্যের আলো ঢেউ তুলছে চরাচরে। আলোর মধুর আলিঙ্গনে শিশুর মতো প্রাণ আমার চঞ্চল হয়ে উঠেছে। যদিও নিউইয়র্কের আবহাওয়া বোঝা আমার কাছে উচ্চতর গণিতের চেয়েও কঠিন মনে হয়, এই রোদ তো, তারপর মেঘ ঘিরে এলো, বৃষ্টি পড়ল কয়েক ফোঁটা। যাই হোক, সাতটার ট্রেন ধরতে হবে আমাকে। আলোর সমুদ্রে হেসেখেলে দ্রুত পায়ে ছুটছি ট্রেন স্টেশনের দিকে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই পাখির ছানার কিচিরমিচির শব্দ এসে কানে বাজে। দেখি, স্টেশনের শেডের নিচে পাখির বাসা। পক্ষীমাতা উড়াউড়ি করছে, খাবার খুঁজছে। মা পাখির চোখে চোখ পড়তেই আমার ফেলে আসা গ্রামের কথা মনে পড়ে। ছোটবেলায় ঘুম ভেঙে বনে —জঙ্গলে ছুটতাম, পাখির বাসা খুঁজতাম, পাখির ছানার জন্য চাল, ডাল পানি রেখে আসতাম। তখন ছিল অফুরন্ত অবসর। পা জোড়া ভেঙে না আসা পর্যন্ত ঘরে ফিরতাম না। এখন শুধু কাজ আর কাজ, দাঁড়ানোর সময় নেই, কিংবা জায়গাও নেই। ট্রেনের শব্দ পেয়ে পাখিদের ফেলে দৌড়াতে থাকি। অফিসগামী মানুষের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মেট্রো কার্ড স্লাইড করে প্লাটফর্মে এসে দেখি, আমার বারোটা বেজে গেছে। অর্থাৎ, ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে গেছে।
প্লাটফর্মের স্ক্রিনে ট্রেনের সময়সূচি দেখি, পরের ট্রেন আসবে তেরো মিনিট পরে। কেন যে পাখিদের দেখে থেমে গেলাম, স্মৃতির আদিখ্যেতায় ডুবে রইলাম, ভেবে নিজের ওপর রাগ হয়। চারদিকে এখনও কত পাখি ডাকছে, কিন্তু আমি ওদের দিকে না তাকিয়ে শুধু ট্রেনের পথে চেয়ে আছি। এই যান্ত্রিক শহরে মানুষ যন্ত্র না হয়ে কোনো উপায় নেই, এটি বুঝেছি এই দেশে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই। আঠারো মিনিট দেরিতে এসে সংকুচিত হয়ে অফিসে ঢুকে দেখি, পরিচিত কৃষ্ণাঙ্গ সুপারভাইজারের জায়গায় নতুন শ্বেতাঙ্গ সুপারভাইজার এসেছে। যাকে বলে, মরার ওপর খাড়ার ঘা। তার চোখে চিলেকোঠার ঝুলের মতো প্রাগৈতিহাসিক মেঘ দেখে ভড়কে যাই। আমি দুঃখিত, ট্রেন মিস করায় দেরি হয়ে গেল, ক্লক ইন করতে করতে বলি। ক্লক ইন শেষে মাথা তুলে দেখি, চশমার ফাঁকে ঝাড়বাতির মতো তার শ্বেত দৃষ্টি স্থির হয়ে আমাকে দেখছে।
তিনি বলেন, ‘আপনি কি মুসলমান? মোহাম্মদ পদবী অর্থ মুসলিম, জানি। পাশা পদবী মানে কী? দেরি দেখে আপনার প্রোফাইল দেখলাম, ফোন নম্বর সংগ্রহ করলাম, এমন সময় আপনি চলে এলেন।’ প্রশ্ন শুনে নিরুত্তাপ তার দিকে চেয়ে ভাবি, দেরিতে আসার কৈফিয়ত তো দিলাম। এছাড়া দেরিতে আসার সঙ্গে আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের কী সম্পর্ক! আমার অস্বস্তি দেখে তিনি বলেন, তার সদ্য ছেড়ে আসা কর্মস্থলে মোহাম্মদ রফিক নামে একজন প্রায়শই দেরি করে আসার কারণ হিসেবে বলতেন, ভোরের প্রার্থনা শেষে ঘুমিয়ে পড়তেন বলে দেরি হতো। এবার আমি মাথা উঁচু করে বিনয়ের সঙ্গে বলি, আমি প্রতিদিন অন টাইমে অফিসে আসি, আপনি আমার কাজের রেকর্ড দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ, আমি জামাল পাশা, ইসলাম ধর্মের অনুসারী, বলে আমার ডেস্কে চলে আসি।
সুপারভাইজারের আচরণে সুন্দর দিনটি জগদ্দল পাথরের মতো যেন বুকে চেপে বসে। সম্মানের সঙ্গে ভালই তো ছিলাম নিজের দেশে, কেন এলাম এই প্রবাসে, হিসাব মেলাতে পারি না। স্ত্রী, ছেলেমেয়ের ওপর অভিমান হয়, ওদের পীড়াপীড়িতেই তো আসতে রাজি হলাম। দূর থেকে শুক্লপক্ষে বাটির মতো চাঁদ দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমন আমেরিকাও দূর থেকেই স্বপ্নের দেশ, কাছে এলে বোঝা যায় এখানকার সংগ্রাম, দুঃখ, দুর্দশা, বিষাদ, একাকীত্ব, আর অসহায়ত্ব। বয়স পঁচিশ—তিরিশের মধ্যে এই দেশে এলে ঠিক আছে, আমার মতো বয়স্কদের জন্য এই দেশে আসা যন্ত্রণা বৈকি অন্য কিছু নয়। গত তিন বছরে শরীর—মনে যেভাবে ভাঙচুর হয়েছে, ধীরে ধীরে ক্ষয়ে গিয়েছি, আমার দেশে গত ষাট বছরেও শরীর—মনে এমন ছন্দপতন ঘটেনি। একটা অদৃশ্য বেদনা এমনভাবে গ্রাস করেছে, কোনোভাবেই কাজে মন বসাতে পারি না। ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে সুপারভাইজারের অহেতুক মশকরা সুলভ মুখচ্ছবি চোখের সামনে অনবরত ভাসছে।
কোম্পানির নিয়মানুসারে দশটা থেকে বারোটার মধ্যে পনেরো মিনিট ব্যক্তিগত ছুটি পাব। আমার চাকরিটা বেশ আরামের, শারীরিক পরিশ্রম কম বলেই এই চাকরিতে যুক্ত হয়েছি। সময়ও কাটলো, সঙ্গে নিজের হাতখরচসহ পরিবারকেও কিছুটা সাহায্য করতে পারি। সুপারভাইজারের ডেস্কে গিয়ে পনেরো মিনিটের জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি না করে দেন। বলেন, ‘তুমি দেরিতে এসেছ, এখন বাইরে গেলে স্যালারি কাটা হবে।’ জীবনের বেশীরভাগ কঠিন পরিস্থিতি ধৈর্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করা আমি তার রুঢ়তার সামনে বাকহীন হয়ে ঘামতে থাকি। মাথা চক্কর দেয়ার উপক্রম হলে অন্তর্গত ক্রোধটাকে সামলে কাজে ফিরে যাই। যথাসাধ্য শান্ত থাকার চেষ্টা করলেও মনের বিদ্রোহ বেড়েই চলছে। অশান্ত মনকে এ—কথা, সে—কথা বলে লাঞ্চের সময় পর্যন্ত বেঁধে রাখি। ঘড়িতে একটা বাজলে মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। দুপুর একটায় তিরিশ মিনিটের লাঞ্চ ব্রেক পাই। এই সময়টায় আমি আফ্রিকান মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করি। যেহেতু সময়টা পূর্বনির্ধারিত সেহেতু সুপারভাইজারের অনুমতির প্রয়োজন নেই। যদিও অফিস থেকে কে কখন বের হয়, ফিরে আসে, তিনি সবই দেখেন। রোজকার মতো নামাজের অজু সেরে টুপি মাথায় অফিস থেকে বের হওয়ার সময় সুপারভাইজার পেছন থেকে ডেকে বললেন, ‘হ্যাট পরে তোমার গরম লাগছে না? তোমাকে দেখেই তো আমার গরম লাগছে’ বলে তিনি সহ পাশের ডেস্কের সকলে সমস্বরে হেসে ওঠে। তাদের হাসি থামছে না দেখে আমার মাথাটা ফাঁকা লাগে, অপমান বোধ হয়। ঝাপসা চোখে নামাজ শেষে আমার আর কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। আমার মাথায় শুধু ওদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপের হাসির শব্দ বাজতে থাকে। দুপুরের খাবার না খেয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অফিসে ফিরে আসি।
সকালের মতো এবার মন ফুঁসে না উঠে এক অক্ষম বেদনায় নিমজ্জিত হয়। রক্তস্রোতে অন্যায়ের প্রতিবাদে চিৎকার বয়ে গেলেও ক্ষমতাধর ওদের সামনে আমার ভাষা বোবা হয়ে যায়। শরীর ভীষণ দুর্বল লাগলে অফিস ছুটির আগেই সুপারভাইজারকে বলে বাসায় চলে আসি।
অসময়ে আমাকে বাসায় দেখে রাবেয়া দৌড়ে আসে, সঙ্গে মেয়েটাও। ‘শরীর খারাপ? তুমি ঠিক আছো?’ বলে শংকা জড়ানো স্বরে আমার দিকে ঝুঁকে রাবেয়া কপালে হাত রাখলে ওর হাত সরিয়ে দিই। গমগমে গলায় বলি, নিশ্চিন্ত, নিরুদ্বেগ নিজের দেশ ছেড়ে এই ভিনদেশে এসেছি কোন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে, কে জানে! পান থেকে চুন খসলে মাথা নিচু করে ছেলের বয়সীদের কথা হজম করতে হয়। রাবেয়া কিছু বলতে গেলে মেয়ে তাকে থামিয়ে দেয়। এরপর মেয়ে নিজ হাতে আমার ঘামে জবুথবু শার্ট খুলে বাথরুম থেকে ভেজা টাওয়াল এনে আমার মুখ, গলা মুছে দেয়। ঠান্ডা জলে লেবুর শরবত খাইয়ে চুলে বিনুনি কাটতে কাটতে মেয়ে জানতে চায়, কী হয়েছে? মেয়ের কোলে মাথা রেখে বাচ্চার মতো গুটিসুটি চোখ বুজে সকাল থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বলি।
কিছু সময় কারো মুখে কোনো কথা নেই। চোখ মেলে দেখি, মেয়ে জানালার বাইরে দূর আকাশের দিকে উদাস তাকিয়ে আছে। মেয়েকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরলে ও আমার অন্ধকারে ধ্রুবতারার মতো জ্বলে ওঠে। মেয়ে দৃঢ গলায় বলে, ‘বাবা, পৃথিবী এখন একটি গ্রামের নাম। এই পৃথিবী কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম, গোত্র, বর্ণের একার নয়, এই পৃথিবী সকলের। কোনো নিয়মের কারাগার কিংবা ধ্যান ধারণায় বন্দি হয়ে জীবন কাটানো উচিত হবে না। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। তোমার সুপারভাইজারের বাইরের দিক যতটা জোরালো তার আত্মা ততটাই খালি। তোমার বর্তমান অবস্থা শেষ গন্তব্য নয়, ভাল সময় নিশ্চয়ই আসবে।’
মেয়ের কথাগুলো শুনে সারাদিনের ভাঙাচোরা মন স্নিগ্ধ একটা হাওয়ায় ভরে ওঠে, শরীরে শক্তি পাই।
এরমধ্যে রাবেয়া টেবিলে খাবার সাজিয়ে আমাদের ডাকতে থাকে।
খাওয়া শেষে একটা লম্বা দম ছেড়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিই। বাইরে চোখ যেতে দেখি, একখন্ড মেঘ পড়ন্ত সূর্যটাকে ঢেকে দিয়েছে। ঘরের দেয়ালে মেঘ আর আলো—ছায়া খেলতে থাকে। সেদিকে তাকিয়ে ঘুম ঘুম চোখে যেন আমি উড়ছি, সঙ্গে উড়ছে প্রজাপতি, ফুল, পাখি, শস্য সহ আমার ঘর, প্রতিটি মানুষ।
শেফালি আমার বাল্যবন্ধু, সহপাঠী। শেষ বিকেলের গোধুলিতে উঠোনে কাঠের পিঁড়িতে বসে, পাকা ধানের মতো ঈষৎ ঝুঁকে ও মাটির ঘ্রাণ নিচ্ছে। ওর হালকা বাদামী রঙের শাড়ির জমিনে ছোট ছোট সাদা মেঘের আনাগোনা, অপূর্ব দেখাচ্ছে। আমাকে দেখে ও হেসে বলল, ‘কত কাল দেখা নেই, কেমন আছো?’ আমি মাথা ওপর—নীচ করে সম্মতি জানিয়ে তন্ময় হয়ে তখনও ওকে দেখছি। শুনেছি, বুড়ো হলে অন্যকে যতটা বুড়ো মনে হয়, নিজেকে ঠিক ততটা মনে হয় না। শেফালিকে দেখে মনে হলো, আমিই বুড়ো হয়েছি, ও তেমন পাল্টায়নি।
শেফালি মাটির বুকে পাখির ছবি আঁকে, আমি ওই পাখির পাশে আরেকটা পাখি এঁকে দিই। আঁকা শেষে দু’জনে শিশুর মতো খিকখিক হাসতে থাকি। ‘মানুষ বিভাজন তৈরি করে, একসঙ্গে থাকতে পারে না। দেখো, পাখি জোড়া কি সুন্দর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে। এই গাঁয়ে একদা আমাদের কত বন্ধু ছিল, সবাই মানুষ নয়। কুকুর, বিড়াল, বেজি, হাঁস, মুরগি, পাখি, ফুল, ঘাসফড়িং..। মনে পড়ে, ঘুঘু ডাকা নিঝুম দুপুরে মাঠেঘাটে ওদের সঙ্গে কত বেড়িয়েছি’ শেফালি বলে। আমি অভিমানী গলায় বলি, সেই ভুবন ধূসর করে কিছু না বলে চলে গেলে কেন? ‘আমি তোমার মেয়ের মতো ভাগ্য, সাহস নিয়ে জন্মাইনি, তাই বাবা—মা’র সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলাম।’ ওর কথা বুঝতে না পেরে বলি, মানে কী? শেফালি নিঃসীম শূন্যতার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘মানে হলো, তোমার মেয়ে আমেরিকায় আছে। এই দেশে আইন সকলের জন্য সমান। কেউ চাইলেও কারো বিশ্বাসের জায়গাটা একেবারে চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারে না, আত্মবিশ্বাস গিলে খেতে পারে না, মত প্রকাশের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। হয়ত সাময়িকভাবে কেউ পিছিয়ে পড়ে, কিন্তু জীবন থেমে যায় না, এক পা এক পা করে হলেও এগিয়ে যায়। এখানে যে যার বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে পারে, এবং এটাই সৌন্দর্য। আমি দুর্ভাগা, ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া আমার রাষ্ট্রে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও আমার মাকে সিঁদুর পরে স্কুলে ক্লাস নিতে বারণ করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক যেদিন এই সিদ্ধান্তের কথা মাকে বলেছেন সেদিন থেকে তাঁর আত্মা মরে যেতে দেখেছি। মা বলতেন, ভেতরের মৃত আমিকে দিয়ে কী শেখাব বাচ্চাদের? এর কয়েকদিন পরই বাবার সিদ্ধান্তে আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাই। নির্বাসনের যে বেদনায় তুমি আজ ক্ষতবিক্ষত, আমি ছোটবেলা থেকে আজ অবধি সেই বেদনায় ডুবে আছি।’
শেফালির একনাগাড়ে বলা কথাগুলো শুনে আমার মেরুদন্ড যেন পট করে ভেঙে গেল। ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে আমি গড়িয়ে বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে যাই।
বিকেল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। স্বপ্নে দেখা শেফালির বিষণ্ণ দৃষ্টি আর কথাগুলো দুর্যোগময় রাতের মতো আমাকে জর্জরিত করছে অনবরত। আমার ঋষির মতো শিক্ষক বাবা এমন কোনো অন্যায় কাজ সত্যিই করেছেন, ভেবে ভেতর থেকে আমি বরফের মতো জমে যাই। বাবা বেঁচে নেই, শেফালি কোথায় আছে, জানি না। নিজের জীবনের প্রতি নিজের বিতৃষ্ণা লাগে। একটা আতঙ্ক, গ্লানি নীরবে আমাকে জাপ্টে ধরে। আমি নিজের কাছ থেকে নিজেকে লুকোতে চাই। কিন্তু হায়, আত্মগোপনের জাদু না জানা আমি যেখানেই লুকোতে যাই সেখানেই আমার ছায়া গলা উঁচিয়ে আমাকে পেছনে থেকে ডাকনাম ধরে ডাকতে থাকে।