ওয়ান ডে ক্রিকেটে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস প্রতিবেদনঃ সিরিজটা আগেই খুইয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে দলের লক্ষ্য ছিল একটা জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো, সঙ্গে ওয়ানডে ্যাঙ্কিংয়ের জন্যও মূল্যবান কিছু পয়েন্ট তুলে নেওয়া। কিন্তু কোনো লক্ষ্যই শেষমেশ পূরণ করা হলো না। বাংলাদেশ আফগানিস্তানের কাছে তৃতীয় ওয়ানডেতেও হারল। এবার ব্যবধানটা হলো সবচেয়ে বেশি, ২০০ রানে হারের লজ্জায় ডুবল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আর তাতে আফগানিস্তানের কাছে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের কবলে পড়েছে দল।

শুরুতে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ২৯৩ রান। জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৯৩ রান তুলতেই। ব্যাট হাতে রান যা করেছেন সাইফ হাসানই। তার ৪৩ রানের পরের ১০ জন রান করেছেন যথাক্রমে ,,,,,,,,, যেন রীতিমতো টেলিফোন ডিজিট!

পুরো সিরিজ যেমন ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছে, শেষ ম্যাচেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ২৯৪ রান তাড়া করতে নেমে নাঈম শেখ কিছুটা সতর্কভাবে ইনিংস শুরু করতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং যেভাবে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে শেষ কয়েক দিন ধরে, তাতে এই অ্যাপ্রোচকেই মনে হচ্ছিল যথার্থ, অন্য পাশে তো সাইফ হাসান মারছিলেনই

তবেওপেনার নাঈম বিদায়ের পরই বিপত্তির শুরু। রান করে ফেরেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৬ বলে রান করে বোল্ড হয়েছেন বিলাল সামির বলে। শান্তের এই সিরিজে রান মাত্র ১২, যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের কোনো সিরিজে সর্বনিম্ন।

তৃতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন সাইফ হাসান তাওহিদ হৃদয়। তবে রশিদ খান বল হাতে এসেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ইনিংসের ১৭তম ওভারে গুগলিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়, করেন ১২ বলে রান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ হাসানকে বোল্ড করেন রশিদ। ৫৪ বলে ৪৩ রান করা ওপেনারই ছিলেন দলের শেষ আশার প্রদীপ।

সাইফের বিদায়ের পর দ্রুতই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। একই স্কোরে পরপর দুই বলে ফেরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ শামীম হোসেন। মিরাজ উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন বিলাল সামির বলে, আর শামীম রানআউট হন মাত্র রানে। বলে উইকেট হারিয়ে ৭০ রানে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপরও রশিদের আক্রমণ থামেনি। নুরুল হাসানকে এলবিডব্লু করে সিরিজে নিজের ১১তম উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই উইকেট আফগানিস্তানের হয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটিও ছিল রশিদের দখলে, ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ উইকেট।

শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন তানভীর ইসলাম, কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বিলাল সামির বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রান করে। তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৮১ রান, হাতে বাকি উইকেট। বিলাল শেষমেশ উইকেট নিয়েছেন। আর বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৯৩ রানে, লক্ষ্য থেকে ২০০ রান দূরে থাকতেই!

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান তোলে উইকেটে ২৯৩ রান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও আবার থামেন ৯৫ রানে। মোহাম্মদ নবীর ঝোড়ো ৩৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান ওভারে মাত্র রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন, যদিও তাকে দিয়ে কোটা পূরণের পথে হাঁটেননি অধিনায়ক মিরাজ।

Related Posts