ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা

ঢাকা থেকেঃ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে চোর সন্দেহে তিন বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার তাদের মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। মরদেহগুলো ত্রিপুরার খোয়াই জেলার সাম্পাহার থানায় ছিল।

নিহতরা হলেনহবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত আশ্বব উল্লার ছেলে জুয়েল মিয়া (৩০), বাসুল্লা গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে পণ্ডিত মিয়া (৪৯) কবিলাশপুর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (২৫) তিনজনই উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকা দিয়ে তিনজন ত্রিপুরার খোয়াইয়ের কারেঙ্গিছড়া এলাকায় প্রবেশ করেন।

নিহতদের পরিবার স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার নিহতরা ভারতে কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, ঘটনাস্থলটি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে চারপাঁচ কিলোমিটার ভেতরে, যা ভারতের ৭০বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকা।

হবিগঞ্জ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। স্থানীয়রা চোর সন্দেহে তাদের আটক মারধর করেন। এতে তারা প্রাণ হারান।তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, বিকেলে ভারত থেকে মরদেহ সজল মিয়ার স্ত্রী মারুফা বেগম, জুয়েল মিয়ার স্ত্রী মাজেদা আক্তার, পণ্ডিত মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তারসহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সময় চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ত্রিপুরার খোয়াই থানার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দেব বর্মাসহ বিজিবি বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Posts